টেস্টের পর ওয়ানডেতেও চনমনে বাংলাদেশ

কয়রা স্পোর্টস ডেস্ক : কলম্বো থেকে ডাম্বুলার দূরত্বটা খুব বেশি নয়, মাত্র ১৭৫ কিমি। শততম টেস্ট জয়ের পরই কলম্বোতে প্রস্তুতি ম্যাচও খেলেছে বাংলাদেশ। এরপর অবশ্য ওয়ানডে ম্যাচের ভেন্যুতে চলে আসেন মাশরাফিরা। শ্রীলঙ্কার একবারে মাঝখানে থাকা এই শহরটি বোলারদের স্বর্গভূমি বলে পরিচিত। ডাম্বুলায় পৌঁছেই অনুশীলন শুরু করে দেয় বাংলাদেশ। আগামীকাল প্রথম ওয়ানডেতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে মাঠে নামবে মাশরাফির দল।
প্রথম ওয়ানডে ম্যাচের আগে দারুণ ফুরফুরে বাংলাদেশ দল। শততম টেস্ট জয়টা দলের সবার মধ্যে বাড়তি আত্মবিশ্বাস এনে দিয়েছে। ব্যাট হাতে ভালো ফর্মে রয়েছেন তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতরা। এ ছাড়া বল হাতে আগুন ঝড়ানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদরা। বাড়তি স্পিনার হিসেবে মেহেদী হাসান মিরাজের উপস্থিতিও বাংলাদেশের শক্তি বাড়িয়েছে।

ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের পরিসংখ্যানটা ভালো নয়। ৩৮টি ম্যাচে মাত্র চারটিতে জয় পেয়েছে টাইগাররা। সেই ২০০৬ সালে বগুড়ায় প্রথম জয় পায় বাংলাদেশ। এরপর ২০০৯ সালে ঢাকায় শ্রীলঙ্কাকে হারায় বাংলাদেশ। লঙ্কানদের বিপক্ষে তৃতীয় জয়টা আসে ২০১২ সালে। ওয়ানডেতে সর্বশেষ ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এই সিরিজেই যে পঞ্চম জয়ের বিষয়ে আশাবাদী মাশরাফিরা। কেবল ম্যাচ নয়, বাংলাদেশের চোখে এখন শ্রীলঙ্কাকে হোয়াইটওয়াশ করার স্বপ্ন। লঙ্কানদের ৩-০ ব্যবধানে হারাতে পারলে ওয়ানডে র‍্যাংকিংয়ের ছয় নম্বরে উঠে আসবে বাংলাদেশ।
প্রস্তুতি ম্যাচেই লড়াইয়ের আভাস দিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার ৩৫৪ রানের জবাবে সাকিব-তামিম বাদেই ৩৫৪ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। সৌম্য, সাব্বির, সৈকত, মাহমুদউল্লাহ, মাশরাফি রানের দেখা পেয়েছেন। প্রথম ম্যাচে সাকিব-তামিমের উপস্থিতি দলের শক্তি বাড়িয়ে দেবে বহুগুণ।
তবে কোচ হাথুরুসিংহের চিন্তা বাড়াচ্ছেন বোলাররা। ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশের কোচ বলেন, ‘বোলারদের পারফরম্যান্সে আমি খুব একটা সন্তুষ্ট না। তবে আশা করছি, মূল সিরিজে তারা ভালো করবে।’
প্রস্তুতি ম্যাচে চান্দিমাল, কুশল মেন্ডিস, থারাঙ্গাবিহীন নখদন্তহীন লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা তুলাধোনা করে ছাড়েন মাশরাফি-তাসকিন-রুবেল হোসেনদের। ম্যাচে তাসকিন আহমেদ ছিলেন ছন্নছাড়া। তাঁকে বেশ স্বচ্ছন্দে খেলেছেন লঙ্কান ওপেনাররা। ৬ ওভার বোলিং করে ৫১ রান খরচ করে একটি উইকেট পাওয়া তাসকিনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি প্রস্তুতি ম্যাচে।
ইনজুরি থেকে ফিরে বল হাতে ভালো করেননি অধিনায়ক মাশরাফিও। ৯ ওভারে ৬৬ রান দিয়েছেন বাংলাদেশ দলনেতা। ভিরাকোড্ডি, কুশল পেরেরাদের সামনে খুব একটা প্রভাব বিস্তার করতে পারেননি ম্যাশ। এ ছাড়া রুবেল হোসেনও বেশ সাদামাটা বল করেছেন প্রস্তুতি ম্যাচে। ৮ ওভারে ৬৭ রান দিয়েছেন এই পেসার।
শুভাগত হোমও হতাশ করেছেন। তবে প্রথম ওয়ানডেতে মুস্তাফিজ ও সাকিবের অন্তভুক্তি কোচের সাহস বাড়াচ্ছে। সেই সঙ্গে মিরাজ দলে থাকলে বাড়তি একজন অলরাউন্ডারও পাবে বাংলাদেশ।
অনুশীলন, প্রস্তুতি ম্যাচ সব শেষ। এখন মাঠের লড়াইয়ের অপেক্ষা। আগামীকাল বিকেল তিনটায় শুলু হবে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ, এরপর ২৮ মার্চ দ্বিতীয় ও ১ এপ্রিল হবে তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচ।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

কয়রা সহ খুলনায় দেড় বছরে বাল্যবিয়ের শিকার ৩ সহস্রাধিক ছাত্রী

কয়রায় কার্তিক হত্যা মামলার প্রধান আটক

যা ছিল চাওয়া, তা হল পাওয়া বিদায়ী ম্যাচ জিতলেন মাশরাফি