আ. লীগে কাউয়া ঢুকছে, বের করতে হবে : কাদের


সিলেটে সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে আওয়ামী লীগের সিলেট বিভাগীয় প্রতিনিধি সম্মেলনে আজ বুধবার বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।


আওয়ামী লীগে ‘কাউয়া’ ঢুকছে এবং এই ‘কাউয়া’ বের করে দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর নামে আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় দোকান খোলা যাবে না। এসব দোকান বন্ধ করে দিতে হবে।
আজ বুধবার দুপুরে সিলেটে সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সিলেট বিভাগীয় প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মধ্যে কিছু লোক ঢুকেছে, যারা দলের ক্ষতি করতে চায়, তাদের বিতাড়িত করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে কাজ করুন।

দীর্ঘ ১৫ বছর পর এই বিভাগীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো।  সিলেট বিভাগের অন্য চার জেলার নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, সিলেটসহ সারা দেশে আওয়ামী লীগের কোনো পকেট কমিটি চলবে না। প্রতিটি স্থানেই প্রকাশ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় কমিটি দেওয়া হবে। সব ভেদাভেদ আর মতপার্থক্য ভুলে দলের স্বার্থে সর্বস্তরের নেতাকর্মীকে একযোগে কাজ করতে হবে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনার প্রবীণ-অসুস্থ নেতার খবর যদি না নেন, আপনি যখন অসুস্থ হবেন আপনার খবরও কেউ নেবে না। এগুলো আওয়ামী লীগের চিরবিজয়ী মূল্যবোধ, সৌজন্যবোধ। আজকে রাস্তায় সৌজন্য পোস্টার দেখি, সৌজন্য ব্যানার দেখি, সৌজন্য তোরণ দেখি, কিন্তু হারিয়ে গেছে রাজনীতি থেকে সৌজন্যবোধ।’
আওয়ামী লীগের নামে ভুঁইফোড় সংগঠন তৈরি করার ব্যাপারে হুঁশিয়ারি দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আবারও বলছি, বঙ্গবন্ধুর নামে আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় দোকান খোলা যাবে না। আজকে ব্যাঙের ছাতার মতো, কী বলে, আজকে দেখলাম আওয়ামী প্রচার লীগ। আরে আমার প্রচার বিভাগ আছে স্ট্রং, প্রচার লীগ এলো কোত্থেকে? এসব দেখলেই এদেরকে ধরবেন, পুলিশের হাতে তুলে দেবেন। আওয়ামী কী? প্রচার লীগ। আওয়ামী কী? তরুণ লীগ। আওয়ামী প্রজন্ম লীগ। আর কী কী আছে? ও আওয়ামী প্রবীণ লীগও একটা আছে। আওয়ামী কর্মজীবী লীগ। আওয়ামী ডিজিটাল লীগও একটা দেখলাম কাল হবিগঞ্জের রাস্তায় আসতে আসতে। এসব চলবে না। ও হাইব্রিড লীগও আছে। আরে আল্লাহরে কী যে অবস্থা। তাহলে কথা তো হাছা। যে কাউয়া ঢুকছে। এই কাউয়া বের করতে হবে। সবাই একমত? (তখন পাশ থেকে জ্বি শব্দ শোনা যায়)। এই সব দোকান বন্ধ করে দিতে হবে।’
ওলামা লীগের ব্যাপারে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ওলামা লীগ আবার কয়টা আল্লাহই জানে। আর একেক সময় একেক ফতোয়া জারি করে। কোনটা আসল কোনটা নকল? চেনা বড় কঠিন।’
বিএনপি প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি হচ্ছে নালিশ পার্টি। তাদের নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য মাহবুব-উল-আলম হানিফের সভাপতিত্বে ও সিলেটের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেনের পরিচালনায় সম্মেলনে বক্তব্য দেন অর্থমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য আবুল মাল আবদুল মুহিত, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথ, কেন্দ্রীয় সদস্য ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনসহ অনেকে।


Posted by #amadinews

মন্তব্যসমূহ

  1. আপনার কথায় আমি একমত আগে কাউয়া গুলো কে দূর করে দিতে হবে।তার পর জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত কে শক্তিশালী করতে হবে।

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

কয়রা সহ খুলনায় দেড় বছরে বাল্যবিয়ের শিকার ৩ সহস্রাধিক ছাত্রী

কয়রায় কার্তিক হত্যা মামলার প্রধান আটক

যা ছিল চাওয়া, তা হল পাওয়া বিদায়ী ম্যাচ জিতলেন মাশরাফি