কয়রায় জনবল ওষুধ সংকটে ব্যাহত হচ্ছে পশু চিকিৎসা


কয়রা প্রতিনিধি :খুলনা জেলার আইলা কবলিত, কয়রা উপজেলার, প্রাণি সম্পদ দপ্তরে জনবল ও ওষুধ সংকটের কারণে  পশু চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে।
৭টি ইউয়নের কয়েক শত খামারি মালিকরা উপজেলার প্রায় দেড় লক্ষধিক পশুর চিকিৎসা সেবা চালাচ্ছেন মাত্র একজন চিকিৎসক।
জানা যায় , উপজেলার ৭টি  ইউনিয়নে  দুগ্ধ ও মাংসের খামার রয়েছে ৫২টি, ছাগলের খামার ৩৮টি, ভেড়ার খামার১৭ টি, হাঁস ১১ টি মুরগি ৯ টি, ব্রয়লার ৯৯ টি, লেয়ার ৪৯ টি। এছাড়া স্বল্প পরিসরে মহিষ ও ঘোড়া পালন হচ্ছে। বাণিজ্যিক ছাড়াও অনেকেই পারিবারিক  চাহিদা মেটাতে বিভিন্ন প্রজাতির পশু পাখি পালনে জড়িত। এসব প্রাণির সার্বক্ষণিক চিকিৎসা দেয়ার জন্য সরকারিভাবে কয়রা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে আটটি পদে ১১ জন কর্মকর্তা বা কর্মচারি নিয়োগ দ্য়োর কথা থাকলেও সেখানে রয়েছে মাত্র ৪ জন। দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাসহ প্রানি সংরক্ষণ সহকারি, ভেটেনারি মাঠ সহকারি, কম্পাউন্ডার, কৃত্রিম প্রজনন সহকারি, ড্রেসার ও অফিস সহায়ক পদ গুলো শূন্য রয়েছে। শুধু মাত্র ভেটেনারী সার্জন ডাঃ মোঃ আব্দুল কুদ্দুস ও ২ জন ভেটেনারী ফিল্ড সহকারি দিয়ে চলছে এ চিকিৎসা কার্যক্রম। এর পরও রয়েছে ওষুধ সংকট যা প্রয়োজনের তুলুনায় একেবার অপ্রতুল। সব মিলিয়ে বলা যায় উপজেলার প্রাণিসম্পদ চিকিৎসা সেবা চলচ্ছে শামুক গতিতে। খামারি মালিক মোঃ জামালউদ্দিন সরদার, আলহাজ আব্দুল গনি ও মাস্টার রেজাউল ইসলামসহ অন্যান্য মালিকরা  জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর হতে আমাদের তেমন কোন ওষুধ বা অন্যান্য সহযোগিতা পাওয়া যায়না। তাছাড়া ওষুধ বা অন্যা পরমশ্য নিতে গেলে জনবল সংকটের কারণে প্রায়ই ফেরে আসতে হয়।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর হতে ছোট ছোট খামার মালিকরা অনেক সময় ভেকসিন সহায়তা পেয়ে থাকে। খামার মালিকরা আরও জানান প্রাণিসম্পদ দপ্তর হতে সরকারি ওষুধ ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পেলে তারা সুন্দরভাবে খামার পরিচালনা করে বেশি লাভবান হত। তারা স্বল্পসুদে ঋণ দেয়ারও দাবি জানান।
ডাঃ আব্দুল কুদ্দুস জানান, জনবল, ওষুধ ও অন্যান্য সংকটের কারণে খামারিদের ভ্যাকসিন ও পরমশ্য ছাড়া কিছুই করা যাচ্ছে না।


Posted by কয়রার সংবাদ

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

কয়রা সহ খুলনায় দেড় বছরে বাল্যবিয়ের শিকার ৩ সহস্রাধিক ছাত্রী

কয়রায় কার্তিক হত্যা মামলার প্রধান আটক

কয়রায় সুন্দরবনে বিষ প্রয়োগ করে ধরা বিপুল পরিমান চিংড়ি মাছ উদ্ধার।