বোরো ধানের শেষ সময়ে এসে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে কৃষকরা পানির অভাবে ধানে পোকামাকড়
কয়রা ডেস্ক : বোরো ধানের শেষ সময় চলছে। দেরিতে ধান লাগানো কৃষকরা পড়েছে বেকায়দায়। বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ধানে সর্বশেষ সেচ দিতে পারছেন না কৃষকরা। এ নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা। বৃষ্টির পানির দিকেই তাকিয়ে প্রান্তিক কৃষক। ঠিক সময়ে সেচ দিতে না পারার কারণে ধানে এবার পোকার আক্রমণ বেশী হয়েছে বলে দাবি করেছেন তারা।
ডুমুরিয়ার কৃষক সাইদুল হোসেন এবার ধান চাষে দেরী করে ফেলেছেন। ইতোমধ্যে অনেকেরই ধান ওঠা শুরু করলেও তার ধান উঠতে এখনও পনের দিন বাকি। ধান পাকার আগ মুহূর্তে ক্ষেতে একটি সেচ দিতে হয় দাবি করে তিনি বলেন, সেচ বন্ধ রাখতে হয়। পানি তুলতে দিনে বিদ্যুৎ পাওয়া যায় না। গভীর রাতে বিদ্যুৎ আসলে তবেই পানি তুলতে হয়। পুরো মৌসুম জুড়েই চলছে এ অবস্থা। পাইকগাছার গড়ইখালী ইউনিয়নের মেম্বর শহিদুল ইসলাম বলেন, ধান লাগিয়ে আর মজা নেই। খরচ বেশী হয়ে যায়। ডিজেলের মেশিনে স্যালোর পানি তুলতে খরচ পড়ে বেশী। ফলে ধানে লাভ হয় কম। বিদ্যুৎ লাইন থাকলেও তা’ কাজে আসছে না। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে পাম্প চালানো যায় না। ঠিকমত পানি দিতে না পারলে পোকার আক্রমণ বেশী হয়। এবার ধানে পোকাও লেগেছে বেশী বলে তিনি জানান।
জেলায় হাজারো কৃষক সেচ পাম্পে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে সেচ কাজে সুবিধা করতে পারেনি। এদিকে কাগজে কলমে দেখানো হচ্ছে বিদ্যুৎ ঘাটতি নেই।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনার দেয়া তথ্য মতে, খুলনা মেট্রো এলাকাসহ ৯ উপজেলায় এ বছর ৫২ হাজার ৩শ’ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। এরমধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে সেচ লাইনের আওতায় রয়েছে দুই হাজার কৃষক। এর মধ্যে দেড় হাজারের মত কৃষক বিদ্যুতের সাহায্যে সেচ কাজ পরিচালনা করে থাকেন।
খুলনা পল্লী বিদ্যুতের আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে জানা গেছে, জেলার ৯ উপজেলায় ১ হাজার ৫৮৮ জন কৃষক সেচ কাজের সুবিধার্থে বিদ্যুৎ সংযোগের আওতায় রয়েছে। এরমধ্যে বিল বকেয়ার কারণে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে ১৪৫ জন গ্রাহকের।
সূত্রটি জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার পিক আওয়ারে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৭০ মেগাওয়াট আর অফ পিকে চাহিদা ছিল ৬০ মেগাওয়াট। সরবরাহও ছিল একই। এর আগেরদিন পিক আওয়ারে চাহিদা ছিল ৭২ মেগাওয়াট আর এবং অফ পিকে চাহিদা ছিল ৫৭ মেগাওয়াট। পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে জানানো হয়েছে দু’দিনে কোন ঘাটতি ছিল না।
তবে গ্রাহকরা বলছেন ভিন্ন কথা। বুধবার দিনের অধিকাংশ সময়ই বিদ্যুৎ ছিল না পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলায়। দুপুর ১২টায় শুরু লোডশেডিং ভেঙেছে সন্ধ্যা ৭টায়।
লোডশেডিং ও সেচ কাজে অসুবিধার বিষয় নিয়ে খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার শহীদুজ্জামান এ প্রতিবেদককে বলেন, আমরা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের চেষ্টা করি। বিশেষ করে সেচ মৌসুমে এদিকে নজরও থাকে বেশী। তবে চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে কিছুটা সিস্টেম লসও হয়ে থাকে। যে কারণে কখনও কখনও লোডশেডিং দিতে হয়। তবে সেটা ধরার মত কিছু নয় বলে তিনি জানান।
Posted by কয়রার সংবাদ
ডুমুরিয়ার কৃষক সাইদুল হোসেন এবার ধান চাষে দেরী করে ফেলেছেন। ইতোমধ্যে অনেকেরই ধান ওঠা শুরু করলেও তার ধান উঠতে এখনও পনের দিন বাকি। ধান পাকার আগ মুহূর্তে ক্ষেতে একটি সেচ দিতে হয় দাবি করে তিনি বলেন, সেচ বন্ধ রাখতে হয়। পানি তুলতে দিনে বিদ্যুৎ পাওয়া যায় না। গভীর রাতে বিদ্যুৎ আসলে তবেই পানি তুলতে হয়। পুরো মৌসুম জুড়েই চলছে এ অবস্থা। পাইকগাছার গড়ইখালী ইউনিয়নের মেম্বর শহিদুল ইসলাম বলেন, ধান লাগিয়ে আর মজা নেই। খরচ বেশী হয়ে যায়। ডিজেলের মেশিনে স্যালোর পানি তুলতে খরচ পড়ে বেশী। ফলে ধানে লাভ হয় কম। বিদ্যুৎ লাইন থাকলেও তা’ কাজে আসছে না। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে পাম্প চালানো যায় না। ঠিকমত পানি দিতে না পারলে পোকার আক্রমণ বেশী হয়। এবার ধানে পোকাও লেগেছে বেশী বলে তিনি জানান।
জেলায় হাজারো কৃষক সেচ পাম্পে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে সেচ কাজে সুবিধা করতে পারেনি। এদিকে কাগজে কলমে দেখানো হচ্ছে বিদ্যুৎ ঘাটতি নেই।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনার দেয়া তথ্য মতে, খুলনা মেট্রো এলাকাসহ ৯ উপজেলায় এ বছর ৫২ হাজার ৩শ’ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। এরমধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে সেচ লাইনের আওতায় রয়েছে দুই হাজার কৃষক। এর মধ্যে দেড় হাজারের মত কৃষক বিদ্যুতের সাহায্যে সেচ কাজ পরিচালনা করে থাকেন।
খুলনা পল্লী বিদ্যুতের আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে জানা গেছে, জেলার ৯ উপজেলায় ১ হাজার ৫৮৮ জন কৃষক সেচ কাজের সুবিধার্থে বিদ্যুৎ সংযোগের আওতায় রয়েছে। এরমধ্যে বিল বকেয়ার কারণে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে ১৪৫ জন গ্রাহকের।
সূত্রটি জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার পিক আওয়ারে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৭০ মেগাওয়াট আর অফ পিকে চাহিদা ছিল ৬০ মেগাওয়াট। সরবরাহও ছিল একই। এর আগেরদিন পিক আওয়ারে চাহিদা ছিল ৭২ মেগাওয়াট আর এবং অফ পিকে চাহিদা ছিল ৫৭ মেগাওয়াট। পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে জানানো হয়েছে দু’দিনে কোন ঘাটতি ছিল না।
তবে গ্রাহকরা বলছেন ভিন্ন কথা। বুধবার দিনের অধিকাংশ সময়ই বিদ্যুৎ ছিল না পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলায়। দুপুর ১২টায় শুরু লোডশেডিং ভেঙেছে সন্ধ্যা ৭টায়।
লোডশেডিং ও সেচ কাজে অসুবিধার বিষয় নিয়ে খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার শহীদুজ্জামান এ প্রতিবেদককে বলেন, আমরা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের চেষ্টা করি। বিশেষ করে সেচ মৌসুমে এদিকে নজরও থাকে বেশী। তবে চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে কিছুটা সিস্টেম লসও হয়ে থাকে। যে কারণে কখনও কখনও লোডশেডিং দিতে হয়। তবে সেটা ধরার মত কিছু নয় বলে তিনি জানান।
Posted by কয়রার সংবাদ
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন