কয়রায় দুই ডাকাতের ১৭বছর কারাদ-

কয়রা ডেস্ক : ডাকাতির অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার চটকাতলা গ্রামে ডাকাতি মামলার দু’আসামির প্রত্যেককে ৩৯৫ ধারায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ১ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ৩৯৭ ধারায় ওই দু’আসামির প্রত্যেককে আরও ৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। গতকাল সোমবার খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ রব হাওলাদার এ রায় ঘোষণা করেন। 
দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন পাইকগাছা উপজেলার ধামরাইল গ্রামের মৃত বাছের মোড়লের ছেলে মোক্তার মোড়ল (৩৫) ও কয়রা উপজেলার নাকসা গ্রামের আব্দুল মোতালেব গাজীর ছেলে মো. আলি আকবার গাজী (৩২)। এ মামলার অপর ৮ আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন কয়রা উপজেলার নাকসা গ্রামের গোলজার গাজী ও তার ভাই বেলজার গাজী, বাবুল, মারুফ, বেল্লাল, মুকুল, আজিম শেখ, ফারুক সরদার। রায় ঘোষণাকালে দন্ডপ্রাপ্ত মোক্তার মোড়ল ও আকবার গাজী আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। 
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার চটকাতলা গ্রামের মৃত অনন্ত গাইনের ছেলে বিমল চন্দ্র গাইন ২০০২ সালের ১৭ মার্চ রাত ১০টার দিকে প্রতিদিনের ন্যায় পরিবার-পরিজন নিয়ে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত সোয়া ১২টার দিকে ১৩/১৪জনের একটি ডাকাত দল বিমলের বাড়িতে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে প্রায় ৩৮হাজার টাকার মামলার লুট করে নিয়ে যায়। তাদের ডাক-চিৎকারে গ্রামবাসি ছুটে এসে ডাকাত মোক্তার মোড়ল ও আকবার গাজীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় বিমল চন্দ্র গাইন বাদি হয়ে ১১জনের বিরুদ্ধে কয়রা থানায় ডাকাতি মামলা দায়ের করেন। ২০০৩ সালের ৫জুন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক উথান চো ১০জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বিশেষ পিপি এ্যাড. এনামুল হক।


Posted by কয়রার সংবাদ

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

কয়রা সহ খুলনায় দেড় বছরে বাল্যবিয়ের শিকার ৩ সহস্রাধিক ছাত্রী

কয়রায় কার্তিক হত্যা মামলার প্রধান আটক

যা ছিল চাওয়া, তা হল পাওয়া বিদায়ী ম্যাচ জিতলেন মাশরাফি