১৪ বছর পর খুলনা জেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি




দীর্ঘ ১৪ বছর পর অবশেষে খুলনা জেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন পাওয়ায় পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীদের হতাশা ও আক্ষেপ দূর হয়েছে।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে খুলনা জেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

দীর্ঘ ১৪ বছর পর পূর্ণতা পাওয়ায় জেলা ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের মাঝে আশার সঞ্চার হয়েছে। তবে দীর্ঘ সময় রাজপথে সক্রিয় থাকা কয়েকজন যোগ্যতা অনুসারে পদ পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০২ সালের ২৫ জুলাই জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন হয়। সেই কমিটি ভাঙে ২০১২ সালে। দীর্ঘ ১৪ বছর খুলনা জেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কোনো কমিটি গঠন করা হয়নি। সর্বশেষ ২০০৩ সালের ১৪ জুলাই ১২১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। ওই কমিটি জেলা শাখার দায়িত্বে ছিল প্রায় ৮ বছর। এরপর ২০১২ সালে ১৫ সদস্যের এক প্রেস কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ওই কমিটি জেলার দায়িত্বে ছিল দীর্ঘ ৫ বছর। ২০১৭ সালের ২৯ জুলাই জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনে মো. পারভেজ হাওলাদার সভাপতি ও মো. ইমরান হোসেন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

জেলা ছাত্রলীগের কমিটির জটলা ছাড়লেও এখন প্রশ্ন উঠেছে কবে হবে মহানগর ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি?

২২১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির সদস্যরা হলেন- সভাপতি মো. পারভেজ হাওলাদার, সহ-সভাপতি ৩১ জন হলেন: মারুফ হোসেন, আবু সাইদ রনি, মিরাজুল ইসলাম, আলামিন এহসান ইমু, তছলিম হোসাইন তাজ, নিত্যানন্দ দাস, মো. রফিকুল ইসলাম রফিক, ইমরান হোসেন জ্যাকি, আছাবুর রহমান রাজ, নাসির হোসেন, মো. আলামিন, জাকারিয়া রহমান ওমান, মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, মোস্তাফিজুর রহমান রুবেল, গাজী মহিদুল ইসলাম, আতিক শাহরিয়ার তাকিম, বাপন রায়, মান্নাফ হোসেন হ্যাপি, প্রতাপ ঘোষ, মো. রফিকুল ইসলাম লিখন, দেবাশীষ বিশ্বাস লিয়ন, ওমর ফারুক, মো. রাসেল ভুলু, এস এম তানজির রহমান উষান, কানাই ম-ল, কেএম মোস্তাফিজুর রহমান মোফিজ, জুয়েল হাসান আরমান, হামিম কবির রুবেল, অসীম কুমার গাইন, আমির মোমেন রানা ও মো. আবু সাঈদ খান।

সাধারণ সম্পাদক মো. ইমরান হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক ৯ জন হলেন- তানভির রহমান আকাশ, মৃনাল কান্তি বাছাড়, শুভ সেন, ইয়াছিন আরাফাত খান, জাহিদ হাসান, শাহিদুল চৌধুরী, আবু রায়হান নিবির, ওয়ারিস আহমেদ রাজন ও মাসুম বিল্লাহ।

সাংগঠনিক সম্পাদক ৯ জন হলেন- আশিকুজ্জামান তানভীর, কাজী নাজীব, আতিকুর রহমান আতিক, অভিজিৎ রায় অভি, সালমান জামান রাজ, আরিফুল ইসলাম কাজল, সুরজিত মন্ডল, শরীফ মো. মাসুম বিল্লাহ ও গাজী সহেল আহমেদ লিটন।

প্রচার সম্পাদক চিশতি নাজমুল বাশার সম্রাট, উপ-প্রচার সম্পাদক ৩ জন হলেন- শরীফুল ইসলাম তনু ও শেখ রিয়াজ হোসেন।

দপ্তর সম্পাদক বাধন হালদার, উপ-দপ্তর সম্পাদক ৩ জন হলেন- মো. মোফিজুর রহমান মুন্না, আক্তারুল আলম সুমন ও মনিরুজ্জামান কাকন।

গ্রন্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহীন আলম রাজ, উপ গ্রন্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক তিনজন হলেন- প্রশান্ত কুমার রায়, আলমগীর হোসেন রাজু ও মো. ফয়সাল হোসেন।

শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক মোল্লা ফয়সাল হোসেন, উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক ২ জন হলেন- এস এম লিখন আহমেদ ও খান ফরহাদুজ্জামান সুমন।

সাংস্কৃতিক সম্পাদক দ্বীপ্ত দাস, উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক ৩ জন হলেন- রুদ্রনীল হালদার শুভ, মোল্লা আশিকুর রহমান ও সাগর খান।

সমাজসেবা সম্পাদক ওলিউজ্জামান সানি, উপ-সমাজসেবা সম্পাদক ২ জন হলেন- রাসেল হোসেন বাপি ও আদনান শরীফ সেতু।

ক্রীড়া সম্পাদক মো. আব্দুর রহমান, উপ-ক্রীড়া সম্পাদক তিন জন হলেন- মো. ইজাজুল ইসলাম, সুজয় রায় সুজিত ও পার্থ প্রতিম চক্রবর্তী।


পাঠাগার সম্পাদক নূর আল আমিন, উপ-পাঠাগার সম্পাদক ২ জন হলেন- মো. মিঠুন সরদার ও রমজান সরদার। তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক কবিরুল ইসলাম, উপ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ২ জন হলেন- বি এম লিপু ও রাফেজ ইসলাম।

ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক নন্দিতা বিশ্বাস নদী, উপ-ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক ৩ জন হলেন- আঞ্জুমান নাদরিন উর্মি, সুমাইয়া আক্তার সনি ও নাসরিন জামান ঝুমা।

অর্থ সম্পাদক অনুপম মল্লিক, উপ-অর্থ সম্পাদক ৩ জন হলেন- মেহেদী হাসান মিশু, শরীফুল ইসলাম টিঙ্কু ও মোরশেদ রিয়াদ। আইন সম্পাদক মো. নাহিদুল ইসলাম জুমান, উপ আইন সম্পাদক ২ জন হলেন- আলিমুজ্জামান বাবু ও শেখ জুবায়ের হোসেন।

পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম ও সাদিয়া আক্তার অন্তরা। স্কুলছাত্রবিষয়ক সম্পাদক তানভীর রহমান সাগর, উপ স্কুলবিষয়ক সম্পাদক ২ জন হলেন- মেহেদী হাসান ও রানী খাতুন।

বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক অয়েশ কুরুনী বাবু, উপ বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক ২ জন হলেন- সজীব তালুকদার, সবুজ গাইন।

ধর্মবিষয়ক সম্পাদক বদিউজ্জামান লিটু, উপ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ২ জন হলেন- বেল্লাল হোসনে রানা ও সরদার মতিউর রহমান। কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ফয়সাল জামান উৎস, উপ-কৃষি বিষয়ক সম্পাদক শেখ মাহবুব আলম সোহাগ ও মোহন গাইন টমাস।

গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক রওশন রহমান অভি, উপ গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক মো. সজীব খান ও শেখ মাহমুদ হাসান তুহিন।

ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক বাইজিদ হোসেন, উপ-ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক শশাঙ্ক রায়, মো. নাজমুল হোসেন ও সৌভিক বুস শুভ।

সাহিত্যবিষয়ক সম্পাদক শোয়াইব আলী মো. নাভিদ, উপ-সাহিত্যবিষয়ক সম্পাদক ৩ জন হলেন- মো. কাওছার আলী, মো. মাসুদুর রহমান মানিক ও শেখ নাফিস ইকবাল নাইম। গণযোগাযোগ ও উন্নয়ন সম্পাদক কামরান ফারহাদ সানী, উপ-গণযোগাযোগ ও উন্নয়ন সম্পাদক ২ জন হলেন- আহসান আহমেদ পাভেল ও আয়াতুল মুঈদ আবু রাজিম।

মানবসম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক ফাইম সরদার, উপ মানবসম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক তিনজন হলেন- সাব্বির হোসেন, রাজিব সাহা ও মোল্লা নাহিদুর রহমান। আপ্যায়ন সম্পাদক শেখ রাসেল, উপ-আপ্যায়ন সম্পাদক মিঠুন কুমার মিত্র ও মনি শংকর মন্ডল।

মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শিমুল দেবনাথ, উপ মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা সম্পাদক খান ফয়সাল, নাইমুল হক নিলয় ও এসএম আনারুল ইসলাম। স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিম রানা, উপ-স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক নয়ন লস্কর, শেখ হেলাল বাবু, মো. ইকতাজুল গাজী ও জিন্নাতুল মোস্তফা এলিজা।

সহ সম্পাদক ৩১ জন হলেন- নাজিম মোড়ল, তানভির হোসেন অমি, আশরাফুল আলম সেতু, রবিউল ইসলাম রবি, হাফিজুর রহমান, রমজান হোসেন রিকি, আহাদ হাসান বাবু, শফিকুজ্জামান বুলু, শাহ মো. ইয়াহিয়া, মো. আলামিন (বটিয়াঘাটা), শেখ ইব্রাহিম, মিল্টন মন্ডল, রাকিবুল ইসলাম (পাইকগাছা), পলাশ রায়, মেজবাউদ্দিন মাহমুদ শাওন, পার্থ কুমার সাহা, মো. কাজী আহমাদুল্লাহ আশরাফ, কায়রুল বাশার, মো. শাকিল মোড়ল, নাহিদুজ্জামান সৌরভ, মঞ্জুরুল ইসলাম মোল্লা, রেজায়ানুল ইসলাম রেদো, শেখ রিয়াল, মো. ফয়সাল শরীফ, মাসুদ রানা, শেখ আশফাকুল ইসলাম, চিন্ময় রায়, মো. রাকিব মাহমুদ, সৌমিত্র মল্লিক, বশির আহমেদ কাজল ও প্রসেনজিৎ রাহা।

এছাড়া কমিটিতে সদস্য রয়েছেন ৪৭ জন।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

কয়রা সহ খুলনায় দেড় বছরে বাল্যবিয়ের শিকার ৩ সহস্রাধিক ছাত্রী

কয়রায় কার্তিক হত্যা মামলার প্রধান আটক

যা ছিল চাওয়া, তা হল পাওয়া বিদায়ী ম্যাচ জিতলেন মাশরাফি