কয়রায় খালের কচুরিপানার নিচ থেকে কার্তিক নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
রাসেল আহাম্মেদ, (কয়রা প্রতিনিধি) - কয়রা উপজেলার আমাদী ইউনিয়নের নাকসা মসজিদকুড় সীমান্তের নাকসা টু হরিকাটি কেয়ার রোড সংলগ্ন খালের ভাসমান কচুরিপানার থেকে পার্শ্ববর্তী গ্রামের কার্তিক চন্দ্র সরকার নামক এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার সকাল সাতটার সময় স্থানীয় এক যুবক দোকানে যাওয়ার পথে রাস্তার পাশে খালের ভাসমান কচুরিপানার নিচে এক ব্যক্তির মরদেহ দেখতে পান, তাৎক্ষণিকই স্থানীয়রা জড় হয়ে পার্শ্ববতী আমাদী পুলিশ ফাঁড়িকে খবর দেন।
সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথেই ঘটনা স্থলে যান করেন কয়রা থানা পুলিশের একটি টিম।
নিহত কার্তিক চন্দ্র সরকার (৪০) পার্শ্ববর্তী হরিকাটি গ্রামের রঘুনাথ সরকারের ছেলে।
ঘটনাস্থল পরির্দশন করে ও নিহতের প্রতিবেশী অজিত সরকারের কাছ থেকে জানা যায় প্রায় চার বছর ধরে নিহতের স্ত্রীর সাথে পার্শবর্তী এক ব্যক্তির অনৈতিক সম্পর্ক ছিলো,
সে কারনে প্রায় তাদের সংসারে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো, এমনকি কর্তিক কয়রা থানায় এ বিষয়ে একটি জিডিও করেন কিন্তু বেশ কয়েকদিন আগে স্ত্রীর চাপের মুখে পড়ে জিডিটি ওঠিয়ে নেন।
স্থানীয়রা বলেন আমরা তাকে কচুরিপানার মধ্যে থেকে ওঠানোর সময় তার শরীরে বিভিন্ন অংশে আঘাত ও ক্ষতের চিহ্ন দেখেছি এবং নিহতের স্ত্রীর পরকিয়ার জের ধরেই তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ।
নিহতের বোন বলেন, গতকাল ও তার ভাই তাদের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিল, রাতে বাড়িতে আসার পথে হয়তো তাকে হত্যা করা হয়েছে, খুব গরিব মানুষ আমরা, তার ভাইয়ের দুইটা ছোট ছেলে মেয়ে রয়েছে কি হবে তাদের এখন বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আঘাত চিহ্ন, ক্ষতস্থান ও পুলিশের প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট দেখে উক্ত ব্যক্তিকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হতে পারে বলে জানান সহকারী পুলিশ সুপার (ডি-সার্কেল, কয়রা-পাইকগাছা) মোঃ- সাইফুল ইসলাম।
এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সন্দেহজনক ভাবে কারো গ্রেফতার বা মামলা করা করা হয়নি তবে এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। লাশটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং তার স্ত্রীকে পুলিশ হেফাজাতে নেওয়া হয়েছে, বলে জানান কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রবিউল ইসলাম।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন