উপকূলীয় অঞ্চল কয়রার সুন্দরবনে মাছ ধরার শিশুরা আজ বিদ্যালয়ে
কয়রা প্রতিনিধি : কয়রা উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষায় বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। মাত্র কয়েক বছর আগেও যে ছেলেমেয়েরা স্কুলের পরিবর্তে সময় কাটাতো বনে-বাদাড়ে, মাঠে-ঘাটে. গো-চারণে কিংবা খাল-বিলে মাছ ধরতে- আজ তারাই যাচ্ছে স্কুলে। পৃথিবীর একক ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন সংলগ্ন কয়রা উপজেলার শিক্ষার হার ছিল অনেক নিচে। স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রীর চেয়ে ঝরে পড়ার হারই ছিল বেশি। এর প্রধান কারণ ছিল সুন্দরবন অধ্যুষিত, এই এলাকার জনগোষ্ঠী বরাবরই ছিল দারিদ্র আর অবহেলিত। তাদের প্রধান অন্তরায় ছিল বিদ্যালয় সংকট, অনুন্নত রাস্তাঘাট, দারিদ্র্যতা, অশিক্ষা আর অবহেলা। সংগত কারণেই প্রত্যন্ত এলাকার একজন মৎস্যজীবীর স্বপ্নের মধ্যেও ছিল না তার ছেলেমেয়ে স্কুলে পড়বে, শিক্ষার আলোয় আলোকিত হয়ে দেশ সেবায় নিয়োজিত হবে। আর সুন্দরবন সংলগ্ন নদীর পাড়ের অধিকাংশ জেলের ধারণা ছিল তাদের ছেলেরাও মাছ ধরার পেশা বেছে নেবে। ফলে এই শ্রমজীবীদের ছেলেমেয়েরা শৈশব থেকেই বিদ্যালয়ের পরিবর্তে শিক্ষা নিতো মাছ ধরার কাজের। এই অবস্থায় এ এলাকায় শিক্ষার হার বাড়াকে অসম্ভব বলেই ধরে নি...