মানুষ বিক্রির হাট কাজের সন্ধানে যাদের থাকতে হয় অপেক্ষায়
কয়রা ডেস্ক : ছেলের বাবা একদিন কথার ছলে বলেছিলেন শিববাড়ি মোড়ে মানুষ বিক্রি হয়। কাজে গেলে টাকা পাওয়া যায়। কথাটি মনে ছিল বলেই স্বামী যখন আর একটি বিয়ে করে অন্যত্র চয়ে যান তখন নিজেই চলে আসি খুলনার শিববাড়ি মোড়ে। কিছুক্ষণ দাঁড়ানোর পরই বিক্রি হয়ে যাই। পরে আবারও। এভাবে আসি আর বিক্রি হই। যেদিন বিক্রি হতে না পারি সেদিন ১০টার পর বাড়ি ফিরে যাই। এভাবেই চলছে আমার সংসার।’ কথাগুলো বললেন রূপসা উপজেলার রাজাপুরের রেবা খাতুন। সাথে ছিলেন ছেলে রাসেলও। মা-ছেলে কখনও এক বাড়িতে আবার কখনও পৃথক জায়গায় কাজে যান হয় শিববাড়ি মোড় থেকে নতুবা ময়লাপোতা থেকে অথবা সাত রাস্তার মোড় থেকে। মা রেবা খাতুন আর ছেলে রাসেলের মত আরও অনেক লোক পাওয়া যাবে নগরীর উল্লিখিত জায়গায়। যারা শ্রম বিক্রি করেই জীবিকা নির্বাহ করেন। প্রতিদিন কাকডাকা ভোর থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত কেউ কোদাল, কুর্নিক, ওলন, টেপসহ অবস্থান করেন এসব স্থানে। শ্রম বিক্রির হাট বসে শহর থেকে একটু বাইরে ফুলতলা, ডুমুরিয়া, শাহপুরসহ অনেক স্থানেও। এসব শ্রম বাজার ঘুরে এবং শ্রমজীবী মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেল তাদের অনেকেরই আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস বা মে ...